কম্পিউটারের প্রকারভেদ লেখ ।
কম্পিউটারের প্রকারভেদ মূলত তাদের ক্ষমতা, আকার, এবং ব্যবহার অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। প্রধান প্রকারভেদগুলো হলো:
১. সুপার কম্পিউটার (Super Computer)
- বৈশিষ্ট্য: এটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন কম্পিউটার। বড় মাপের বিজ্ঞান গবেষণা, আবহাওয়া পূর্বাভাস, পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
- ব্যবহার: উচ্চ পর্যায়ের গণনা ও গবেষণায়।
২. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)
- বৈশিষ্ট্য: বড় কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে একাধিক ব্যবহারকারী একসাথে কাজ করতে পারে।
- ব্যবহার: ব্যাংক, সরকারি অফিস, বিমা প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদির জন্য ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজে।
৩. মিনিকম্পিউটার (Mini Computer)
- বৈশিষ্ট্য: এটি মেইনফ্রেম এবং মাইক্রোকম্পিউটারের মধ্যে অবস্থান করে। একাধিক ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করতে পারে, তবে এটি মেইনফ্রেমের তুলনায় কম ক্ষমতাশালী।
- ব্যবহার: ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবস্থাপনার কাজে।
৪. মাইক্রোকম্পিউটার (Micro Computer)
- বৈশিষ্ট্য: এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। পার্সোনাল কম্পিউটার (PC) হিসেবে পরিচিত।
- ব্যবহার: ব্যক্তিগত ব্যবহার, অফিসের কাজ, শিক্ষাগত ও বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
মাইক্রোকম্পিউটারের প্রকারভেদ:
- ডেস্কটপ কম্পিউটার (Desktop Computer): বাড়ি ও অফিসে ব্যবহারের জন্য তৈরি।
- ল্যাপটপ (Laptop): হালকা ও সহজে বহনযোগ্য কম্পিউটার।
- ট্যাবলেট (Tablet): টাচস্ক্রিন সুবিধাযুক্ত হালকা ও ছোট আকারের কম্পিউটার।
- ওয়ার্কস্টেশন (Workstation): বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোকম্পিউটার।
৫. এমবেডেড কম্পিউটার (Embedded Computer)
- বৈশিষ্ট্য: বিশেষ ধরণের কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়, যেমন গাড়ির ইঞ্জিন বা ওয়াশিং মেশিনের নিয়ন্ত্রণ।
- ব্যবহার: অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
এই বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার নির্দিষ্ট প্রয়োজন এবং ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে বাছাই করা হয়।
Post a Comment